Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDG) অর্জনের নিমিত্তে প্রাণিজ পণ্যের যথাযথ উৎপাদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাজার ব্যবস্থার সংযোগ জোরদারকরণ, পণ্যের বহুমূখীকরণ, ফুড সেফটি নিশ্চিত করণ এবং ক্যাটল ইনসুরেন্স ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। ২০২২-২৩ অর্থ  বছরে দুধ উৎপাদন ১৫০০০ মেট্রিকটন, মাংশ উৎপাদন ১১৫০০ মেট্রিক টন এবং ডিম উৎপাদ ২.৭০ কোটি অর্জনের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল ফুলবাড়ী, দিনাজপুর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গবাদি পশু ও পাখির রোগ নিয়ন্ত্রন, নজরদারি, চিকিৎসা সেবার গুনগত মান উন্নয়ন এবং রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার স্থাপন করা হবে। দুগ্ধ ও মাংসল জাতের গরু উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে গরু-মহিষের জাত উন্নয়ন এবং অধিক মাংস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন গরুর জাত উন্নয়ন। পশু খাদ্যের সরবরাহ বাড়াতে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ, টিএমআর প্রযুক্তির প্রচলন ও পশু খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রন গবেষণাগার স্থাপন। তাছাড়া প্রাণিসম্পদের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রানিজ আমিষের নিরাপত্তা বিধান,  জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদাপূরণ, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও অভিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর অংশ গ্রহনের মাধ্যমে কাঙ্খিত আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ। সর্বোপরি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে সংশ্লিষ্ট SDG-এর ৯টি অভীষ্ট ও ২৮ টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যকম গ্রহন করেছে যা ২০৩০ সালের SDG বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল ফুলবাড়ী, দিনাজপুর নিম্নলিখিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন-

১।গবাদিপশুর আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরনের জন্য উঠান বৈঠক আয়োজন, প্রতিটি ইউনিয়নের মডেল খামার স্থাপন এবং মডেল খামারে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে ।

২। নিরাপদ স্বাস্থ্য তথা খাদ্য নিরাপত্তা জোড়দার করার জন্যখামারীসাধারণ জনগণফার্মাসিস্টপ্রশাসন ইত্যাদি সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়ে          এএমআর (AMR) সম্পর্কে  সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ এর  লক্ষ্যে সভাসেমিনারলিফলেট বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রম জোড়দারকরণ এবং রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবয়োটিক  বিক্রি না করার মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিপ্রচার প্রচারণা ইত্যাদি  বৃদ্ধি করা এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা।

৩। কৃষক প্রশিক্ষণ, প্রজেনী শো এবং মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগীতায় কৃষকদের কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি গ্রহনে সচেতন করে তোলা হবে ।

৪। উন্নত জাতের ঘাস চাষের সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্যাম্পাস নার্সারি ও কৃষক পর্যায়ে প্রদর্শনী নার্সারি স্থাপন করা হবে।সারাবছর গুনগতমান সম্পন্ন গো-খাদ্যের সরবরাহ         নিশ্চিতকরণের জন্য কৃষকদের মাঝে খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তির বিস্তার ঘটানোসহ ঘাসের বাজার সৃষ্টির পদক্ষেপ নেয়া হবে ।

৫। বাজার ব্যবস্থাপনায় প্রাণীজাত দ্রব্যাদির মূল্য সংযোজনের উদ্ভাবনী পদক্ষেপ প্রচলনের মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা করা হবে । অবাদে অন্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধকল্পে খামারি ও কৃষক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।

৬। প্রতিটি ইউনিয়নে ভ্যাক্সিনেশন ও ডিওয়ার্মিং ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে কৃষকদের রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিলক্ষে কার্যক্রম জোড়দার করা হবে ।

৭। কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনার সাথে পরিচিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবর্তিত অবস্থার সাথে অভিযোজিত করা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের ঘাটতি মেটানো হবে ।

৮। সফল খামারীদের পুরষ্কৃত করা এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে ।

৯। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ডাটাবেইজ হালনাগাদের পদক্ষেপ নেয়া হবে ।

১০। লাইভস্টক ডায়েরী ও এসএমএস পদ্ধতি ব্যবহার করে সেবা প্রাপ্তির জন্য সাধারণ খামারীকে উদ্বুদ্ধ করা হবে ।